কম্পিউটার কিবোর্ড কাকে বলে, কম্পিউটার কিবোর্ড পরিচিতি
কম্পিউটার কিবোর্ড: কিবোর্ড ইংরেজি শব্দ key board থেকে এসেছে, যা এখন প্রায় বাংলা একটি শব্দ। বাংলা করলে দাঁড়াবে চাবির পাটাতন। কতগুলো কি একত্রে একটি ধারকের মধ্যে থাকায় এইরূপ নামকরণ। কম্পিউটারের কিবোর্ড হল একটি টাইপরাইটার যন্ত্র বিশেষ যার মধ্যে কতগুলো বাটন বা চাবির সন্নিবেশ থাকে এবং এগুলো ইলেক্ট্রনিক সুইচ এর কাজ করে। বর্তমানে প্রচলিত কিবোর্ডগুলোতে সর্বোচ্চ ১০৫ টি কি থাকে।
কিবোর্ড পরিচিতি: কিবোর্ডে বিভিন্ন ধরণের কি থাকে। কয়েকটির পরিচিতি নিচে আলোচনা করা হল।
ফাংশন কিঃ তথ্য সংযোজন, বিয়োজন বা নির্দেশ প্রদানের জন্য ফাংশন কি ব্যবহার করা হয়। F1-F12 পর্যন্ত মোট ১২ টি ফাংশন কি রয়েছে।
আলফানিউমেরিক কিঃ কিবোর্ডে অ্যালফাবেট (a-z) এবং নম্বর (0-9) দিয়ে সাজানো কি গুলোকে বলা হয় আলফানিউমেরিক কি।
নিউমেরিক কি-প্যাডঃ কিবোর্ডের ডান অংশে ক্যালকুলেটরের মতো অর্থাৎ 0-9 এবং যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি চিহ্নিত কিগুলোকে নিউমেরিক কি-প্যাড বলা হয়। ১৭ টি নিউমেরিক কি রয়েছে।
মডিফাইয়ার কিঃ কিবোর্ডের যে সকল বোতামে কোন অক্ষর বা বর্ণ টাইপ করা থাকেনা কিন্তু অক্ষর বা বর্ণ বিন্যাসের কাজ এবং অন্যান্য ধরণের কাজ করা হয় সেগুলোকে বলা হয় মডিফাইয়ার কি। যেমনঃ Shift, Option, Command, Ctrl, Alt ইত্যাদি।
কার্সর মুভমেন্ট কিঃ কিবোর্ডের ডান দিকে চারটি Arrow Key আছে। এগুলোকে কার্সর মুভমেন্ট কি বলা হয়।
কিবোর্ড বিন্যাসঃ বিভিন্ন ধরণের কিবোর্ড লে-আউট আছে। কিবোর্ডের বাম প্রান্তের উপরের ছয়টি বর্ণের ক্রম দিয়ে এই লে-আউটের নামকরণ করা হয়। যেমনঃ QWERTY layout, QWERTZ layout, AZERTY layout.
অভ্র কিবোর্ডঃ অভ্র কিবোর্ড হল বাংলা লেখার একটি মুক্ত সফটওয়্যার। এতে ফোনেটিক পদ্ধতিতে বাংলা লেখা যায়। মেহেদি হাসান অভ্র কিবোর্ড উদ্ভাবন করেন।
উৎস ও ব্যবহারঃ-
প্রযুক্তি বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।